ইফতেখার শাহজীদ, কুতুবদিয়া :

ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস, অফিসার ইন-চার্জ কুতুবদিয়া আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার কারনে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে দ্বীপবাসী। এমনটি গুঞ্জন শোনা যায় উপকূলীয় প্রত্যন্তÍ জনপথ কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়।

কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পুলিশী তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম।

এক সময় স্থানীয় জলদস্যুরা লোকালয়ে প্রবেশ করে গ্রামের নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় সহ সর্বস্ব লুটে নিত। ইয়াবা কারবারীদের দৌরাত্মে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত ছিল সচেতন অভিভাবক মহল। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রীদের নিয়মিত ইভটিজিং করে চলত বখাটেরা।

ওসি‘র হস্তক্ষেপে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। গত আড়াই মাসে পুলিশের অভিযানের মুখে বেশকিছু ভয়ংকর দাগী অপরাধ দের গ্রেফতারের পর অন্যান্য সন্ত্রসীরা এলাকা ছাড়া হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা দিয়েছে।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস গত ১৩ আগষ্ট দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে চোর, ডাকাত, মাদক, জলদস্যু, জঙ্গী ও নাশকতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ জন জলদস্যু, ৯ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ প্রায় দেড় শতাধিক দাগী সন্ত্রসীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এবং বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়ায় ইয়াবা কারবারিদের তৎপরতা এখন নেই বললেই চলে।

এছাড়া ওসির নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে জলদস্যু, জঙ্গি, চোর, ডাকাত, মাদক দ্রব্য বিক্রেতা, মাদক সেবনকারী ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে উপজেলার বিভিন্ন ক্রাইম জোনে একের পর এক অভিযান চালিয়ে দস্যুবৃত্তিতে লিপ্ত থাকা বাহিনীর সদস্য ও বাহিনী প্রধানদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। উদ্ধার করেছেন দেশি বিদেশি প্রায় ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ টি রামদা, ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য। অপরাধীদের এ ভাবে কুপোকাত করতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলার উপজেলার মেডিকেল গেইট থেকে শিবির নেতা রেজাউল করিমকে আটক করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে থানা অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন।

থানা পুলিশের নিয়মিত টহলদলের সদস্যরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করায় জলদস্যুদের দৌরাত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে।

আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস যোগদানের পর থেকে থানায় দালালদের দৌরাত্ম নেই বলেই চলে। তাছাড়া বর্তমানে নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার অতীতের তুলনায় অনেক বেশি।